সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বড়িকান্দ ইউপির থোল্লাকান্দি গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমেদের এতিম দুই ছেলের সম্পদ আত্মসাৎ মামলায় তাদের বড় বোন মুক্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় মামলার অপর আসামিদ্বয় বাদী পক্ষ কে হত্যা করাসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এবিষয়ে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নবীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন মুক্তর ছোট ভাই রিফাত আহমেদ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, মুক্তার ও তার স্বামী একই গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ মিলে তার আপন ছোট দুই ভাই রিফাত ও আরাফাত এবং ছোট বোন সানিয়ার পৈত্রিক সম্পদ সলিমগঞ্জ বাজারের দোকান ভিটা ও গাজীপুরের চেরাগালী মার্কেটে থাকা দোকান আত্মসাৎ করায় মৃত মোস্তাক আহমেদ এর ছোট ভাই আবু হানিফ বল্টু তার ভাতিজারা নাবালক হওয়ায় তাদের পক্ষে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে আদালত কতৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এরই সুবাদে গত ১৯ মে নবীনগর থানা পুলিশ কতৃক মামলার ১নং আসামি মুক্তা ধৃত হয়ে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে রয়েছে। এরই ক্ষোভে মামলার অপর আসামিদ্বয় মুক্তার স্বামী শাহাদাত হোসেন সোহাগ ও তার ছোট ভাই সৌকত হোসেন দেশিয় অস্ত্র দেখিয়ে সময় সুযোগ বুজে উক্ত মামলার বাদী পক্ষ কে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এবিষয়ে নিরূপায় হয়ে সম্পদ আত্মসাৎ মামলার পর এইবার নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২১ মে মুক্তার ভাই রিফাত বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এবিষয়ে রিফাত জানান, আমার বোন আমাদের জন্ম সনদ জালিয়াতি করে বয়স বাড়িয়ে আমাদের সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন, এমনকি আমাদের সাথে প্রতিবেশী জিন্নাহ ও কামরুল হাসানের জায়গার বি এস জটিলতা থাকায় এটি আপোষ মিমাংসা করে দেয়ার কথা বলে আমার বোন মুক্তা ও তার স্বামী সোহাগ নবীনগর একজন দলিল লেখকের কাছে নিয়ে গিয়ে খালি স্টাম্পের স্বাক্ষর নেয় এবং পরবর্তীতে উক্ত স্ট্যাম্পে ১৫ লাখ টাকা উল্লেখ্য করে আমার নামে মামলা করেন।এখন সে সম্পদ আত্মসাৎ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর মামলার অপর আসামিরা আমাদের হুমকি দিচ্ছে, এজন্য আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। শুধু তাই নয় সে আমার বোন সানিয়ার কাছ থেকেও একই দিন খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তার নামেও ১৭ লাখ টাকার মামলা দিয়েছে।
অপর এক ভুক্তভোগী মুক্তার ছোট বোন সানিয়া জানান, আমার কাছে থেকে আমার দুই ভাইয়ের মত আমার বোন মুক্তা একই সময় একই কাদায় খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে সাবালক দেখিয়ে ১৭ টাকার মামলা দেয়,আমি আমার জন্ম সনদ দেখিয়ে উক্ত মামলা থেকে জামিনে মুক্ত হই।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার ভাইয়েরা নাবালক হওয়ায় আমার চাচা আবু হানিফ বল্টু আমাদের সম্পদ রক্ষার্থে আমাদের পক্ষে বাদী হয়ে মামলা করায় তাকে আমার বোন জামাই হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
রিফাত ও আরাফাত নাবালক হওয়ায় তাদের পক্ষে বাদী হয়ে মামলা করা চাচা আবু হানিফ বল্টু জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া আমার ভাতিজাদের সম্পদ আমার বড় ভাতিজি মুক্তা ও তার স্বামী মিলে আত্মসাৎ করায় তাদের পিতা মাতা না থাকায় আমি এতিমের পক্ষে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছি। এতে মুক্তা গ্রেফতার হয়েছে কিন্তু অপর আসামি মুক্তার স্বামী শাহাদাত হোসেন সোহাগ ও তার ছোট ভাই সৌকত এখনও গ্রেফতার হয়নি।তারা এখন প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দিচ্ছে এতে করে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি, এদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।